
ব্রণ, ফুসকুড়ি, অ্যালার্জি, একজিমা
By : Kaushik Biswas Shuvo
ব্রণ, ফুসকুড়ি, অ্যালার্জি, একজিমা বা চুলকানি ইত্যাদি নানান ধরনের চর্মরোগে কম বেশি ভুগতে হয় সবাইকেই। আর অনেক সময়ই কি করতে হবে সেটা না জানার কারণে দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগতে হয়।
স্পাইডার ভেইনস বা এনজিওমা
মাঝে মাঝে ত্বকে মাকড়সার জালের মতো কৈশিক নালী ফুটে উঠতে দখা যায়। বিশেষ করে পা, মুখের ত্বক ইত্যাদি সংবেদনশীল ত্বকে এই সমস্যা দেখা যায়।
মূলত ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এছাড়াও সবজি ও ফলমূলজাতীয় খাবার খেলে ত্বকের এ সমস্যা কমানো যায়।
যাদের লিভার বা যকৃতে সমস্যা থাকে তাদের ত্বকে এই ধরনের চর্মরোগ বেশি দেখা যায়। তাই ত্বকে যদি অতিরিক্ত স্পাইডার ভেইনসের সমস্যা দেয় তাহলে দেরি না করে লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।”
ব্রণ
ত্বকে ছোট ছোট লালচে গোটা বা ব্রণ হয়। লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ত্বকে ব্রণ হতে পারে।
আমাদের মুখের ত্বকে অনেক তৈল গ্রন্থি রয়েছে। আর বয়ঃসন্ধির সময়ে ত্বকে তেলের পরিমাণ বেড়ে যায়। লোমকূপে তেল বেড়ে গেলে সেখানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। আর সেখান থেকে হয় ব্রণ।”
“অনেকে ব্রণ হলে সেটি নিয়ে বেশি চাপাচাপি করে থাকেন। ফলে ত্বকে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। তাই ব্রণ হলে হাত না লাগানোই ভালো। তাছাড়া অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে। দিনে দুইবার ত্বক পরিষ্কারের জন্য হালকা ফেইসওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে
ব্রণের সমস্যা কমাতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসও প্রয়োজন। বাদাম ও শস্যজাতীয় খাবার, ফলমূল,
মাছ,
সবজি ইত্যাদি খাবার ত্বকের জন্য উপকারি। তাছাড়া ত্বক সুস্থ রাখতে প্রচুর পানি পান করাও জরুরি।
একজিমা
এক ধরনের চুলকানি–জাতীয় চর্মরোগ। একজিমার কারণে ত্বক লাল হয়ে যায় এবং চুলকানি হয়। শরীরের বিভিন্ন সন্ধিস্থলে মূলত একজিমা বেশি হতে পারে।
একজিমা শরীরের ভিতরে ও বাইরে, দুই কারণে হতে পারে। পোকার কামড়, হেয়ার ডাই ব্যবহার বা বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে একজিমা হতে পারে। আবার খুশকি বা এ ধরনের একজিমা হতে পারে অভ্যন্তরীণ কারণে।
শিশুদের ক্ষেত্রে জন্মগতভাবেই একজিমা থাকতে পারে।
অনেক সময় পোকার কামড় বা একজিমার প্রদাহ হলে জীবাণু নাশক তরল বা ক্রিম ব্যবহার করা হয়। তবে এটি করা উচিত নয়। বরং লাল হয়ে যাওয়া স্থানে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। আর একজিমা হলে সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।”শিশুদের ক্ষেত্রে ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে জন্মের সময়ই একজিমা দেখা যায়। এতে করে বাচ্চাদের গাল লাল হয়ে যায় এবং ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে তাদের গোসল করানোর সময় সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। আর তাদের ত্বকে আদ্রতা বজায় রাখতে প্রচুর পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।